প্রধানমন্ত্রীর ছবি বিকৃত করার অভিযোগে কারাদন্ড

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৯, ২০১৯ সময়ঃ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি বিকৃত করে বিভিন্ন মোবাইল ফোনে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় এক মোবাইল ফোন ব্যবসায়ীকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

বুধবার (৯ জানুয়ারি) বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মাদ আস সামশ জগলুল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক।

আজ রায় ঘোষণার আগে মনির ট্রাইব্যুনালে হাজিরা দেন। রায় ঘোষণার পর তাকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন বিচারক। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আলমগীর হোসেন ও শীল সুব্রতকে খালাস প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন প্রতিক্ষণকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনিরের মনির টেলিকম নামের একটি দোকান ছিল। সেখানে থেকে তিনি বিভিন্ন মোবাইল ফোনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের ছবি বিকৃতি করে বিভিন্ন মোবাইলে দিতেন বলে মামলার অভিযোগে প্রমাণিত হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ১০ নভেম্বর মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া থানার উত্তর রৌহান গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ও বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের বিকৃতি করা অশ্লীল ছবি বিভিন্ন জনকে দেখাতে থাকেন। গোপন সংবাদ পেয়ে সাটুরিয়া থানা পুলিশ আলমগীরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর আলমগীর বলেন যে, তিনি এই ছবিগুলো টাঈাইল জেলার নাগরপুর থানার কেদারপুর বাজারের মনির টেলিকম থেকে নিয়েছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় সাটুরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুস ছালাম বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ (২) ধারায় একটি মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রুত ও শ্রী প্রভাব চন্দ্র সরকার।

২০১৪ সালের ২০ মার্চ সাটারিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন এই চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি আলমগীর হোসেন, মোহাম্মদ মনির, শীল সুব্রুতের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন সাইবার ট্রাইব্যুনাল। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শ্রী প্রভাত চন্দ্র সরকারকে অব্যাহতি প্রদান করেন। মামলায় বিচারকালে ১৮ সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ১০ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য প্রদান করেন। মনির নিজের পক্ষে দুইজন সাফাই সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেন।

 

প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G